বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক ও লন্ডন বৈঠক নিয়ে মতামত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক বৈঠক শনিবার সকালে জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষভাবে লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর প্রকাশিত যৌথ বিবৃতি দলটির কাছে যথার্থ নয় বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারপ্রধান হিসেবে কোনো একটি দলের সঙ্গে যৌথ প্রেস ব্রিফিং নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। প্রধান উপদেষ্টা কোনো একটি দলের সঙ্গে বৈঠক করে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করায় আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে কিনা তা নিয়ে জনগণের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দেশে বহু রাজনৈতিক দল সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র এক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে জাতীয় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সঠিক নয়। জামায়াতে ইসলামী আশা প্রকাশ করেছে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য নিরপেক্ষ থেকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে এবং বিচার ও সংস্কারের ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
সরকারের নিরপেক্ষতা এবং নির্বাচন সংক্রান্ত সংশয় দূরীকরণে প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকা স্পষ্ট করার জন্য জামায়াতে ইসলামী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। দলটি মনে করে, প্রধান উপদেষ্টাকে দেশে ফিরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে তার মতামত প্রকাশ করা উচিত ছিল।
তবে ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠককে জামায়াতে ইসলামী স্বাভাবিক হিসেবে দেখেছে এবং উল্লেখ করেছে, ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পৃথক ও যৌথভাবে বৈঠক করে আসছেন।
আপনার মতামত লিখুন