নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য—আমীর খসরু

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ণ
নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য—আমীর খসরু

বিগত ২০ বছর ধরে দেশের জনগণ বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি—এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষ এখন দ্রুততম সময়ের মধ্যেই একটি নির্বাচন চায়, যাতে গণতান্ত্রিক উত্তরণ সম্ভব হয় এবং জনগণের হাতে রাষ্ট্রের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়া যায়। সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে লন্ডন থেকে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার মতো বিএনপিও কি রোজার আগেই বিচার ও সংস্কারের অগ্রগতি চায় কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, সংস্কারের বিষয়টি পুরোপুরি ঐকমত্যের ওপর নির্ভরশীল এবং এ বিষয়ে ড. ইউনূস, তারেক রহমান ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ আগে থেকেই অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তার মতে, এই ঐকমত্য হতে এক থেকে দেড় মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।

বিচারকে একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিচার বিভাগ তার নিজস্ব গতিতে বিচার করবে এবং কাউকে বিচারের আওতায় আনতে হলে সেই প্রস্তুতির জন্য এখনও প্রায় ছয় মাস সময় রয়েছে। যাদের এখন বিচার হবে না, তাদের জন্য ভবিষ্যতের সরকার রয়েছে। বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করবে এবং এই প্রক্রিয়াটি কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না বলে মনে করেন তিনি।

নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এ বিষয়ে রাজনৈতিকভাবে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।

জামায়াত ও এনসিপির পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে যে সরকার একটি নির্দিষ্ট দলের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক তৈরি করছে—এ বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে সকলের মত প্রকাশের অধিকার থাকা উচিত। সবার মতামত নেওয়ার সুযোগ থাকাই গণতন্ত্রের মূল সৌন্দর্য।

বিএনপি পূর্বে ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বললেও এখন কেন ফেব্রুয়ারির সময় উল্লেখ করছে—এমন প্রশ্নে তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় পর্যাপ্ত এবং বিএনপি আগেই ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্যার সমাধান করে নির্বাচনের পক্ষে ছিল। ফলে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হলেও কোনো সমস্যা নেই।

অবশেষে, তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার একান্ত বৈঠকে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, যখনই নির্বাচন শুরু হবে, তখনই সরকার নিরপেক্ষতার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কেয়ারটেকার সরকার মানেই একটি নিরপেক্ষ সরকার—সুতরাং নির্বাচনে সেই নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে বলে বিএনপি বিশ্বাস করে।