“ভারত সীমান্তে পুশ-ইন শুরু করেছে বর্তমান সরকারকে চাপে ফেলতে”— মির্জা ফখরুল

ভারত সীমান্তে পরিকল্পিতভাবে পুশ-ইন শুরু করেছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলতে — এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তাই সেই সরকারের প্রতি সমর্থন জানাতে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সরকারকে রক্ষা করতেই এখন বাংলাদেশে পুশ-ইন চালানো হচ্ছে।”
শুক্রবার (২০ জুন) রাতে নিজ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের কালিবাড়ি এলাকায় জেলার আলেম-ওলামা ও ইমামদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পানি সংকট ও সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গেও ক্ষোভ
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের সীমান্তে প্রতিনিয়ত মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। আমাদের ন্যায্য পানির হিস্যাও দেওয়া হচ্ছে না। এক ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে আমরা ধীরে ধীরে বের হয়ে আসছি।”
তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আলোচনার মাধ্যমে একটি নির্বাচন নির্ধারিত হয়েছে। কিন্তু শুধু নির্বাচন করলেই চলবে না, নির্বাচনের পর গঠিত সরকার যেন জনগণের জন্য কাজ করে— সে দিকেও নজর রাখতে হবে। আমাদের ভোট একটি পবিত্র আমানত। আমরা তাকেই ভোট দেব, যে ব্যক্তি মানুষের কল্যাণ এবং ইসলামের সেবায় আত্মনিয়োগ করবে।”
আলেমদের উপেক্ষা এবং ব্যক্তিগত ত্যাগের কথা
বিগত সরকারের আমলে আলেম-ওলামারা অবহেলার শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, “বিএনপি সেই ভুল থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। আমরা ভিন্ন পথে রোজগার করি না, সৎভাবে চলতে চাই। রাজনীতি করতে গিয়ে আমাকে পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করতে হয়েছে।”
জনগণের দুঃখ-কষ্ট বোঝা রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাধ্যমেই সম্ভব
মির্জা ফখরুল বলেন, “রাজনৈতিক ব্যক্তি ছাড়া জনগণের কষ্ট কেউ বুঝবে না। যে নেতারা জনগণের পাশে থাকে, কষ্টের সময় তাদের সহানুভূতি নিয়ে এগিয়ে আসে—তাদেরকেই সংসদে পাঠাতে হবে। তাহলেই ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।”
এই মতবিনিময় সভায় স্থানীয় আলেম-ওলামা, ইমাম এবং বিএনপি নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন