আবরার ফাহাদের দেখানো পথেই এনসিপির রাজনীতি: নাহিদ ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ৭:২০ পূর্বাহ্ণ
আবরার ফাহাদের দেখানো পথেই এনসিপির রাজনীতি: নাহিদ ইসলাম

“দিল্লি না ঢাকা”—এই স্লোগান উঠেছিল আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদী মিছিল থেকে। সেই স্লোগানই আজ বাংলাদেশের আধিপত্যবাদ বিরোধী রাজনীতির প্রতীক হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে শহীদ আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আবরার ফাহাদ আমাদের যে পথ দেখিয়ে গেছেন, এনসিপি সেই পথেই রাজনীতি করছে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশপন্থি আদর্শের ধারক; ভারতের আধিপত্য ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে গলা তুলে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই চেতনার পথ ধরেই সংঘটিত হয়েছে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান। এনসিপি সেই আদর্শ ও স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, আবরার ফাহাদ থেকে শুরু করে আবু সাইদসহ গত ১৬ বছরে যারা গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন—আমরা তাদের সবাইকে স্মরণ করছি, তাদের আত্মত্যাগকে ধারণ করছি। ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ সেই শহীদদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দৃঢ় প্রত্যয় বহন করছে। যারা বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম, মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চেয়েছিল, আমরা তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের রাজনীতি করছি।

আবরার ফাহাদের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, বুয়েটের মেধাবী এই শিক্ষার্থীকে ২০১৯ সালে নির্মমভাবে হত্যা করে ছাত্রলীগ। তার অপরাধ ছিল—সে বাংলাদেশের স্বার্থে কথা বলেছিল, ফেসবুকে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লিখেছিল। বিশেষ করে ফেনী নদী চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বার্থহানির বিষয়টি সে তুলে ধরেছিল। সেই কারণেই তাকে সারারাত ধরে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। এই ঘটনাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় মোড় এনে দেয়। বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে—যা আধিপত্যবাদ বিরোধী এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ের অন্যতম মাইলফলকে পরিণত হয়।

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবির পর ২০১৯ সালে আবরার হত্যাকাণ্ড ছিল জাতীয় রাজনীতির আরেকটি বড় ঘটনা, যা নতুন করে ভারতের আধিপত্যবিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করে।

এ সময় আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ, মা রোকেয়া খাতুন ছাড়াও এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও এনসিপির অঙ্গ সংগঠন যুব শক্তি ও শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় নেতারা এবং কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।