সীমান্ত হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না: নাহিদ ইসলাম

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ৭:২৬ পূর্বাহ্ণ
সীমান্ত হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গত ১৬ বছর ধরে ভারতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে শেখ হাসিনার সরকার গুম, খুন ও নির্যাতনের রাজত্ব কায়েম করেছে। তবে এবার আর নয়—এবার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, সীমান্ত হত্যা কোনোভাবেই আর মেনে নেওয়া হবে না। বুধবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানচিত্র, মাটি ও জনগণের সুরক্ষা এখন দেশের ছাত্র, তরুণ ও যুবসমাজের কাঁধে। এই দায়িত্ববোধ থেকেই এনসিপি মাঠে নেমেছে। ভারতের আধিপত্যবাদ বহুবার বাংলাদেশের মানবিক মর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করেছে। পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে দেশকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে নিরীহ মানুষ হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি জানান, সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গার দর্শনার এক কৃষক বিএসএফের গুলিতে নিহত হন এবং সাতদিন পর তার লাশ দেশে ফেরত আসে। এই একক ঘটনাই নয়—গত ৫৪ বছরে সীমান্তে এক হাজারের বেশি মানুষ হত্যার শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে শুধু চুয়াডাঙ্গা জেলাতেই প্রায় দুই শতাধিক বলে দাবি করেন তিনি। গরু পাচার বা চোরাচালানের অভিযোগে বিএসএফ নির্বিচারে কৃষকসহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে, অথচ এতদিন কোনো সরকারই এর বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ভারত যদি সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায়, তবে সেই সম্পর্ক হতে হবে সমতা, ন্যায্যতা ও পারস্পরিক মর্যাদার ভিত্তিতে। তিনি আরও বলেন, শুধু বাংলাদেশের নয়—ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষাও অনেকাংশে বাংলাদেশের ওপর নির্ভর করে। তাই ভারতকে এই বাস্তবতা বুঝতে হবে।

পথসভায় এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান, চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রধান সমন্বয়কারী খাজা আমিরুল বাশার বিপ্লব এবং ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলা সদস্য সচিব সাফফাতুল ইসলাম প্রমুখ।