নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ: ব্যবসায়ী হত্যা ও সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে উত্তাল কর্মসূচি

রাজধানীতে এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবং সারাদেশে চলমান সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে নওগাঁয় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় ছাত্র-জনতা। শনিবার (১২ জুলাই) সকালে শহরের মুক্তির মোড়ে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা শহর। ‘চাঁদাবাজের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘যুবদলের চামড়া খুলে নেবো’, ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো’—এমন শত শত স্লোগানে মুখর ছিল কর্মসূচির পুরো সময়জুড়ে।
সমাবেশে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা তানজিম বিন বারী। বক্তব্য রাখেন ছাত্রনেতা আরমান হোসেন, সাদনান সাকিব, গণঅধিকার পরিষদের সাকিব হোসেন এবং এনসিপি নওগাঁ শাখার নেতা দেওয়ান মাহবুব আল হাসান সোহাগসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, চাঁদা না দেওয়ার অপরাধে একজন ব্যবসায়ীকে পাথর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড কেবল একটি ব্যক্তিকে টার্গেট করে নয়—এটি দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তার ওপর হুমকি। যদি এমন অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হয়, তবে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
বক্তারা সরকারের কাছে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এবং দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা বলেন, “আওয়ামী লীগ খুন, গুম, নির্যাতনের দায়ে নিষিদ্ধ হতে পারে—তবে বিএনপি কেন নয়? ৯ মাসে দেড়শ খুন—এই দায়ও কম নয়। নওগাঁয় চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না।”
এক বক্তা বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকার হটাতে আমাদের সময় লাগেনি। আপনারাও সময়মতো রাস্তায় প্রতিরোধের মুখে পড়বেন, যদি সন্ত্রাস না থামান।”
আপনার মতামত লিখুন