কাপ্তাই হ্রদের সম্ভাবনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ভাবনা

পার্বত্য রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের বহুমাত্রিক সম্ভাবনাকে ঘিরে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময় করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। সম্প্রতি বিকেলে রাঙামাটির বার্গি লেইক ভ্যালি থেকে শুভলং ঝর্ণা ও শুভলং বাজার হয়ে স্পিডবোটে রাঙামাটি শহরের স্টেডিয়াম ঘাট পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য ও অবকাঠামো ঘুরে দেখেন তাঁরা। এই সফরে তাঁদের সহধর্মিণী, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময়কালে মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, পাহাড় ও কাপ্তাই লেক—এই দুইয়ের সম্মিলনেই পার্বত্য চট্টগ্রামের সৌন্দর্য গড়ে উঠেছে। এই হ্রদ তীরবর্তী মানুষের জন্য সম্ভাবনাময় একটি সম্পদ, যা আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই কাপ্তাই হ্রদকে আধুনিকায়ন এবং মৎস্য চাষ উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে, যাতে এই অঞ্চলের মানুষ বাস্তবিক সুফল পেতে পারে।

অন্যদিকে, সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের ফলে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ যে ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছিল, তা ইতিহাস। এখন সময় এসেছে সেই লেককে সম্ভাবনার মূল ভিত্তি হিসেবে কাজে লাগানোর। তাঁর মতে, কাপ্তাই লেক একটি মূল্যবান সম্পদ, যা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে অনন্য ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি আরও বলেন, সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভিত্তিতে সব সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। পাহাড়ি-বাঙালি মিলেই একটি আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ গঠনের পথ প্রশস্ত হচ্ছে।

তিনি জানান, বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের সব দরজা উন্মুক্ত করেছে, তবে পাহাড়ি জনগণের মধ্যে কৃষি ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে থাকার চিত্র এখনো রয়ে গেছে। এটি দ্রুত পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তাঁর কথায়, “আমরা আর পিছিয়ে থাকতে চাই না, দেশের মূলধারার সঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই।”