ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দীতে জামায়াতের প্রথম একক জাতীয় সমাবেশ, সাত দফা দাবি ঘোষণা

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয়েছে একক জাতীয় সমাবেশ। শনিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে সাইফুল্লাহ মানসুরের উপস্থাপনায় সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠীর পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাবেশের প্রথম পর্ব শুরু হয়। এছাড়া নহদনগর ও বিভাগীয় পর্যায়ের সাংস্কৃতিক দলগুলোও অংশ নিচ্ছে এই পর্বে।
সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকেই দেশের নানা জেলা থেকে ট্রেন, বাস ও লঞ্চযোগে জামায়াতের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নামে রাজধানীতে। ব্যানার হাতে, দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ খচিত টি-শার্ট ও পাঞ্জাবি পরে নেতাকর্মীরা মিছিলসহকারে সমাবেশস্থলে পৌঁছান। অনেকেই সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে না পেরে বাইরে অবস্থান নেন।
ভোর থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে প্রায় ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। হাইকোর্ট, মৎস্যভবন, শাহবাগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছেন তারা। এক রঙা পোশাকে থাকা স্বেচ্ছাসেবকরা আগতদের গেট নির্দেশনা, চলাচলের সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিচ্ছেন।
সমাবেশের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে দুপুর ২টায়, যেখানে সভাপতিত্ব করছেন দলের আমীর ডা. শফিকুর রহমান। এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামী সাত দফা দাবি ঘোষণা করেছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন; সব গণহত্যার বিচার ও মৌলিক রাজনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়ন; ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র কার্যকর করা; জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবার পুনর্বাসন; সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন চালু; এবং এক কোটিরও বেশি প্রবাসী ভোটারের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।
দলের ইতিহাসে এটি প্রথমবারের মতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত একক জাতীয় সমাবেশ, যা দলীয় মহলে ঐতিহাসিক সংহতির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন