হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন শেখ হাসিনা, অপরাধের বিষয়টি স্বীকার করেছে ইসি

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্টভাবে অপরাধ করেছেন বলে স্বীকার করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এ বিষয়ে কমিশনের সরাসরি কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার এখতিয়ার নেই বলে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জানানো হয়েছে।

শুক্রবার এক ঊর্ধ্বতন নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “শেখ হাসিনা যে হলফনামায় অসত্য তথ্য দিয়েছেন, তা দণ্ডবিধির ১৮১ ধারার আওতায় একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। তবে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও গ্রহণ-বাতিলের সময়সীমা ইতোমধ্যে অতিক্রান্ত হওয়ায় কমিশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখন আর পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ নেই।”

ইসি থেকে দুদক সচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “যেহেতু সময়কাল পেরিয়ে গেছে, তাই নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার সীমিত। তবে যেহেতু শেখ হাসিনা মিথ্যা হলফনামা দিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট বা তার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৫(১) ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।”

এর আগে ২২ মে দুর্নীতি দমন কমিশন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে জানায়, তিনি ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামায় নিজের সম্পদ বিষয়ে অসত্য তথ্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর আওতায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে ইসিকে চিঠি পাঠায় দুদক।