টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কাইতলা পশুর হাটে সাবলিজ ও শেয়ার বিক্রির অভিযোগ

টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার কাইতলা পশুর হাট ইজারা নিয়ে সাবলিজ দেওয়া এবং শেয়ার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে সরকারিভাবে ইজারাপ্রাপ্ত মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন হাটের সাবেক ইজারাদার হেলাল উদ্দিন।
অভিযোগ অনুসারে, ৫ কোটি ২০ লাখ ৫ হাজার টাকায় হাটের ইজারা পেয়ে চলতি বছরের পহেলা বৈশাখ হাটের দায়িত্ব নেন মাসুদুর রহমান। এরপর তিনি হাটের একাংশ এক বছরের জন্য ২০ লাখ টাকায় বাঁশতৈল গ্রামের বিল্লাল হোসেনকে সাবলিজ দেন। পাশাপাশি বাঁশতৈল ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের আল আমিন সিকদারের কাছে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ১৮ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেন।
বিল্লাল হোসেন বলেন, “মাসুদুর রহমানের কাছ থেকে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ছাগলের হাটটি লিজ নিয়েছি।” আর শেয়ার ক্রেতা আল আমিন সিকদার জানিয়েছেন, “৯৩ লাখ টাকায় মাসুদুরের কাছ থেকে ১৮ শতাংশ শেয়ার কিনেছি।”
মাসুদুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “স্থানীয় গণ্যমান্যদের সুপারিশে ছাগলের অংশ ২০ লাখ টাকায় লিজ দেওয়া হয়েছে এবং মোট ৪০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছি। এতে কোনো শর্ত লঙ্ঘন হয়নি।”
তবে সাবেক ইজারাদার হেলাল উদ্দিন দাবি করেন, “নতুন ইজারাদার চুক্তির নিয়ম ভঙ্গ করে সাবলিজ ও শেয়ার বিক্রি করেছেন। আমি প্রশাসনের কাছে আইনগত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।”
সরকারি হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা ও ইজারা নীতিমালার ৯ নম্বর ধারায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, “ইজারাদার হাট-বাজার অন্যকে সাবলিজ দিতে পারবেন না।” আর ১৭ নম্বর ধারায় চুক্তি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ইজারা বাতিলের বিধান রয়েছে।
পহেলা বৈশাখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে মাসুদুরকে হাট বুঝিয়ে দেয়া হয়। তবে সাবলিজ ও শেয়ার বিক্রির অভিযোগে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ তার ইজারা বাতিলের দাবি তুলেছেন।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.বি.এম. আরিফুল ইসলাম বলেন, “সাবলিজ বা শেয়ার বিক্রির বিষয়ে আমার জানা নেই, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
আপনার মতামত লিখুন