বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্ট কেলেঙ্কারি: দুদকের হাতে ২৭ কর্মকর্তার তালিকা

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৮:৫২ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্ট কেলেঙ্কারি: দুদকের হাতে ২৭ কর্মকর্তার তালিকা

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতে এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘কয়েন ভল্ট’ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ২৭ কর্মকর্তার নামের তালিকা রয়েছে। তালিকা অনুযায়ী, তারা সবাই বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

লকারে অপ্রদর্শিত অর্থ ও মূল্যবান সম্পদ জমা রাখার অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক তদন্ত শুরু করে। গত ২৬ জানুয়ারি একটি লকার খুলে চার কোটি টাকার অর্থসম্পদ পাওয়া যায়। অভিযোগে ২৭ জন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক, নির্বাহী পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা।

এছাড়া সাবেক ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, সাবেক নির্বাহী পরিচালক অসীম কুমার দাশগুপ্ত, মোহাম্মদ মাসুম কামাল ভূঁইয়া ও শুভংকর সাহার নামও তালিকায় রয়েছে। তবে বাকি ২২৪ জনের নাম এখনো জানা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, আদালতের আদেশ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের লকার খুলতে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অসহযোগিতা করেন এবং সময়ক্ষেপণ করেন। এই বিষয়ে দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান টিম দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে লিখিতভাবে অবহিত করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে মোট ২৫২টি লকার রয়েছে, যার মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র একটি খোলা হয়েছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে ধাপে ধাপে বাকি ২৫১টি লকার খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

দুদকে দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই লকারগুলোতে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ জমা রাখা হয়েছে। যেখানে অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের লকার ব্যবহারের জন্য উচ্চমূল্যের ফি পরিশোধ করতে হয়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিনামূল্যে ২০ বছরের জন্য লকার ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন।

দুদকের তদন্তে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের অন্যতম বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়ে আরও বিস্তারিত অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।