খালেদা জিয়া ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করে দেশে ফিরবেন, জানিয়েছেন বিএনপির এম এ মালেক

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৬:০৭ অপরাহ্ণ
খালেদা জিয়া ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করে দেশে ফিরবেন, জানিয়েছেন বিএনপির এম এ মালেক

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে আগামী ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করার পর দেশে ফিরবেন সেখানে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালেক।

এম এ মালেক বলেন, “আপনারা সবাই উনার (বেগম খালেদা জিয়া) জন্য দোয়া করবেন। তিনি দেশবাসীর দোয়ায় আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন। কারণ উনি তার প্রিয় সন্তান তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান, শর্মিলা রহমান, তিন নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, জাহিয়া রহমান এবং জাফিয়া রহমানের সঙ্গে বাসায় দারুণ সময় কাটাচ্ছেন। তারা সবাই উনার পাশে রয়েছেন।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা যুক্তরাজ্য বিএনপির টিম উনার পাশে আছি। আলহামদুলিল্লাহ উনি মেন্টালি খুব রিলাক্স। আমরা উনাকে অনুরোধ করেছি আমাদের সঙ্গে অন্তত এই ঈদটা করে যাওয়ার জন্য। আমরা আশা করি, উনি যদি আমাদের কথা রাখেন তাহলে ঈদের পরেই বাংলাদেশে যাবেন। উনি আগের চেয়ে অনেক ভালো রয়েছেন।”

এম এ মালেক খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে বলেন, “হাসিনাই উনাকে স্লো পয়জনিং দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী, হাসিনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি। হাসিনা যখন লন্ডনে আসেন তখন তিনি ঘোষণা করেছিলেন খালেদা জিয়াকে হত্যার। আল্লাহ বলেছেন এর চেয়ে বড় পরিকল্পনাকারী আমি খোদ আল্লাহ। আল্লাহর পরিকল্পনায় হাসিনার পতন হয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়ার উত্থান হয়েছে।”

খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে কথা-বার্তা হয়নি। আমরা কোনো কথাবার্তা বলবও না। কারণ রাজনীতিতে উনার অনেক সোর্স রয়েছে। উনি অনেক ব্রিফ পান এবং উনার দৃষ্টি বাংলাদেশের প্রতি রয়েছে।”

গত ৭ জানুয়ারি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির পাঠানো রাজকীয় বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন খালেদা জিয়া। ৮ জানুয়ারি তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান এবং পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে নিজে গাড়ি চালিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে যান। ২৫ জানুয়ারি চিকিৎসকদের ছাড়পত্র পেয়ে খালেদা জিয়া তার ছেলের বাসায় ওঠেন।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, যার মধ্যে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস উল্লেখযোগ্য।