কুড়িগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের মারধরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করল বিএসএফ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৪০ অপরাহ্ণ
কুড়িগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের মারধরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করল বিএসএফ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে পাঁচ নাগরিককে মারধরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে বিএসএফ এ ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে এবং অভিযুক্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়।

বিজিবি ও সীমান্ত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে ফুলবাড়ীর নাওডাঙা ইউনিয়নের গোরকমন্ডল নামাটারী সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯২৯ এর সাব পিলার ৪ এস-এর কাছে বাংলাদেশি আব্দুল্লাহ নামে এক বাসিন্দার উঠানে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী চলা এ বৈঠকে বিজিবির ১৫ সদস্যের নেতৃত্ব দেন লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাকিল আলম, আর বিএসএফের ১০ সদস্যের নেতৃত্বে ছিলেন বিএসএফ ৩ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অমিত কুমার। বৈঠকে বাংলাদেশে ঢুকে নাগরিকদের মারধরের ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানায় বিজিবি।

বৈঠকে বিজিবির প্রতিবাদের মুখে বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করে জানায়, অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যরা কাশ্মির ফ্রন্ট থেকে এই অঞ্চলে নতুন এসেছেন এবং ভুলবশত সীমান্ত অতিক্রম করেছেন। তারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার বিষয়টি বুঝতে পারেননি। বিএসএফ আশ্বাস দেয় যে অভিযুক্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে তাদের নিজস্ব আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করা হবে।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাকিল আলম বলেন, “বিএসএফের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে, যেখানে তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং এমন ঘটনা ভবিষ্যতে আর হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে।”

বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ৯৩০-এর সাব পিলার ৮ এস-এর পাশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাকিল আলম। তিনি সীমান্তবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, “বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, কোনো সমস্যা নেই। আপনারা নির্ভয়ে সীমান্তের ফসলি জমিতে কাজ করতে পারবেন।”

এর আগে শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টায় ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙা ইউনিয়নের পশ্চিম বালাতারী সীমান্ত দিয়ে বিএসএফের পাঁচ সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং পাঁচজন বাংলাদেশিকে মারধর করে। পরে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে তারা ফিরে যায়।