চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি নিয়ে বিরোধ, সড়ক অবরোধের হুমকি

চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার জন্য ছয় মাসের কমিটি অনুমোদন দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি। আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে এই তিনটি কমিটি ঘোষণা করেন, যেখানে মোট ৭৫৪ জনের নাম রয়েছে। তবে এই কমিটি নিয়ে সংগঠনের একাংশ তীব্র আপত্তি জানিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই নেতাকে চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের একাংশ দাবি করে, নতুন কমিটিতে অন্তত ৫০ থেকে ১০০ জন পদত্যাগ করেছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই কমিটিতে প্রকৃত কর্মীদের বাদ দেওয়া হয়েছে এবং যাদের বিরুদ্ধে নারী হেনস্তা ও কিশোর গ্যাংকে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে, তাদের স্থান দেওয়া হয়েছে। সনাতন ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মূল্যায়ন করা হয়নি, পাশাপাশি নারী সহযোদ্ধাদেরও অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা তিনটি দাবি উত্থাপন করেন— বিকেল তিনটার মধ্যে কমিটি বাতিল করতে হবে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং কমিটিতে প্রভাব বিস্তারকারী ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় তিন দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। তারা হুঁশিয়ারি দেন, যদি বিকেল তিনটার মধ্যে কমিটি বাতিল না করা হয়, তাহলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। বিকেল পৌনে চারটার দিকে তারা লালখান বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

উল্লেখ্য, সোমবার রাতে ঘোষিত কমিটিতে চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক হিসেবে রিজাউর রহমান এবং সদস্যসচিব হিসেবে নিজাম উদ্দিনের নাম রয়েছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক করা হয়েছে জোবাইর হোসেনকে এবং সদস্যসচিব তৌহিদুল ইসলামকে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ইয়াছির আরফিন চৌধুরী, আর সদস্যসচিব করা হয়েছে মো. রইছ উদ্দিনকে।