শেখ হাসিনার ফেরত আসার বিষয়ে সরকার সবকিছু করছে: প্রেস সচিব

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:১২ অপরাহ্ণ
শেখ হাসিনার ফেরত আসার বিষয়ে সরকার সবকিছু করছে: প্রেস সচিব

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিচ্ছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, সরকারের প্রধান লক্ষ্য শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করা। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তোলা হয়েছে, যা অত্যন্ত গুরুতর। এ ধরনের অপরাধের দায় আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বিবেচিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এই প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্টের কারণে শেখ হাসিনার বিষয়ে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে’র একটি জরিপের ফলাফলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এতে দেখা গেছে ৫৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী চান তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক, আরেকটি অংশ চান তাকে অন্য কোনো দেশে পাঠানো হোক, এবং মাত্র একটি ছোট অংশ চান তিনি ভারতে থাকুন।

সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গ্লোবাল পরিসরে বাংলাদেশের সুনাম অর্জনে কাজ করছে। বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে, যার ফলে শ্রমবাজার, বিনিয়োগসহ নানা ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া ও বাহরাইনসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খারাপ ছিল। এখন এসব দেশে শ্রমিক পাঠানোর সুযোগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে।

তিনি আরও জানান, সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দুর্নীতির তদন্তে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হবে। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রতিবছর দেশ থেকে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে এবং মোট পাচারের পরিমাণ ২৩৪ বিলিয়ন ডলার। এই দুর্নীতির তদন্তের জন্য গঠিত কমিটি দুই মাসের মধ্যে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে।

স্বাধীন সাংবাদিকতা প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে)-এর প্রতিবেদনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শফিকুল আলম দাবি করেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে বাংলাদেশে সাংবাদিকরা সবচেয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করছে। তিনি সিপিজে-কে বাংলাদেশে এসে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা সরাসরি পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও খুনের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, বিচারের পর তাদের ভবিষ্যৎ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে জনগণ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে।