চাকরিচ্যুত ৮৫ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার ভাগ্য নির্ধারণ ২৫ ফেব্রুয়ারি

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা চাকরিতে ফিরতে পারবেন কি না, তা আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি জানা যাবে। আপিল ও পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ এই তারিখে রায়ের দিন ধার্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) পৃথক আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নেন। ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের এক রায়ের ভিত্তিতে চাকরিচ্যুত ব্যক্তিরা একটি আপিল ও চারটি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন, যার শুনানি আজ শেষ হয়।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে এই নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ওঠে এবং ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তাদের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া হয়। এরপর ৮৫ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা হলে ২০০৯ সালে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল তা খারিজ করে দেয়। পরে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা আপিল করেন এবং ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল তাদের পক্ষে রায় দিয়ে চাকরিতে পুনর্বহালের আদেশ দেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে আপিল করা হলে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল করে।
এরপর চাকরিচ্যুত ব্যক্তিরা ২০২৩ সালে পুনর্বিবেচনার জন্য পৃথক পাঁচটি আবেদন করেন। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ একটির অনুমতি মঞ্জুর করেন এবং বাকি চারটি আবেদনের সঙ্গে একত্রে শুনানি হয়। সবশেষ, এই আবেদনের রায় ২৫ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হবে, যা ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার চাকরির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
আপনার মতামত লিখুন