জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে জেলা পরিষদ নির্বাচন করার প্রস্তাবনা।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:০২ পূর্বাহ্ণ
জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে জেলা পরিষদ নির্বাচন করার প্রস্তাবনা।

যদিও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন জেলা পরিষদ বিলুপ্তির প্রস্তাব করেছে, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন এর বিপরীত সুপারিশ করেছে। তারা জেলা পরিষদকে আরও শক্তিশালী করার এবং জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচন করার পরামর্শ দিয়েছে। তাদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদ হবে একটি ‘পরিকল্পনা ইউনিট’, যেখানে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ হবে ‘বাস্তবায়ন ইউনিট’।

এছাড়া কমিশন সুপারিশ করেছে যে, একই দিনে সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা নির্বাচনী ব্যয় কমাবে। এতে ভোটাররা একসাথে জেলা পরিষদ, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।

বর্তমানে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে পারেন না, বরং উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ভোটার হন। কমিশন তাদের প্রতিবেদনেও জেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগণের সরাসরি ভোটের প্রস্তাব করেছে, তবে চেয়ারম্যান পদে সরাসরি ভোটের প্রস্তাব নেই।

তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী, একটি জেলার অধীনে একটি উপজেলা ৩-৫টি ওয়ার্ডে ভাগ হবে এবং বড় উপজেলা হলে ৫টি ওয়ার্ড হবে। এভাবে, জেলা পরিষদের সদস্যরা জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন, এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ভোট দেবেন তারা।

কমিশন স্থানীয় সরকারের অন্যান্য স্তরের শক্তিশালীকরণের জন্য জেলার বরাদ্দগুলো জেলা পরিষদের তহবিলে জমা করার প্রস্তাবও দিয়েছে, যা উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে।

এছাড়া, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন জেলা পরিষদ বাতিল করার পরামর্শ দিয়ে প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ করেছে, কিন্তু স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ এর বিরোধিতা করেছেন, তার মতে জেলা পরিষদকে আরও শক্তিশালী করে পরিকল্পনা কাঠামো হিসেবে গঠন করা উচিত।