অযত্নে রক্ষিত ভাষাশহীদদের স্মৃতিচিহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ
অযত্নে রক্ষিত ভাষাশহীদদের স্মৃতিচিহ্ন

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির চিরকালীন চেতনার একটি অংশ। যারা বাংলা ভাষার জন্য জীবন দিয়ে আন্দোলন করেছেন, তাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাঙালির পরিচিতি গড়ে উঠেছে। একুশের সংগ্রাম এখন দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হচ্ছে।

ভাষাশহীদ হিসেবে পাঁচজনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে—আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, রফিক উদ্দিন আহমদ, আবদুস সালাম, ও শফিউর রহমান। তাঁদের ২০০০ সালে একুশে পদক দেওয়া হয়, যদিও প্রকৃত ভাষাশহীদের সংখ্যা আরও বেশি।

ভাষাসংগ্রামীদের স্মৃতিরক্ষা নিয়ে খুব একটা উদ্যোগ দেখা যায় না। তাঁদের স্মৃতিরক্ষায় নির্মিত বিভিন্ন স্থাপনা অবহেলায় পড়ে আছে।

মানিকগঞ্জের রফিক গ্রন্থাগার ও স্মৃতিসংগ্রহ, ফেনীর সালাম গ্রন্থাগার ও অন্যান্য স্থানগুলোতে ভাষাশহীদদের স্মৃতিরক্ষা যথাযথভাবে করা হয়নি। গ্রন্থাগারগুলোতে পাঠকের অনুপস্থিতি এবং অবহেলার কারণে অনেক বই নষ্ট হয়ে গেছে, এবং সেগুলোর উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি।

হালুয়াঘাট ও গফরগাঁওয়ের শহীদ জব্বারের স্মৃতি ও স্থাপনা প্রায় অযত্নে পড়েছে। তার বাড়ির অদূরে নির্মিত শহীদ মিনারটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। পঞ্চগড়ে ভাষাসৈনিক সুলতানের স্মৃতিস্তম্ভও এখনও নির্মিত হয়নি, যদিও তাঁর মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হয়েছিল।

গাইবান্ধার ভাষাসৈনিক কার্জন আলী পাঠাগারও বর্তমানে অবহেলিত। তহবিলের অভাবে সেখানে প্রয়োজনীয় বই এবং অবকাঠামো নেই, ফলে পাঠকের সংখ্যা কমে গেছে।