দুবাইভিত্তিক বাইবিট ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ থেকে ১৫০ কোটি ডলার চুরিতে উত্তর কোরিয়ার দায় দাবি

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) দাবি করেছে যে, দুবাইভিত্তিক বাইবিট ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ থেকে প্রায় ১৫০ কোটি ডলারের ভার্চুয়াল সম্পদ চুরির জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী। এই চুরিকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টো হ্যাক বলে মনে করা হচ্ছে।

এফবিআই জানিয়েছে, হ্যাকাররা ‘ট্রেডারট্রেইটর’ নামের একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ম্যালওয়্যার ইনস্টল করেছিল, যা ভুক্তভোগীদের চাকরির অফারের আড়ালে প্ররোচিত করেছিল। একবার ম্যালওয়্যার ইনস্টল হয়ে গেলে, এটি হ্যাকারদের আর্থিক সিস্টেমে প্রবেশ এবং তহবিল সরানোর সুযোগ দেয়।

হ্যাকাররা চুরি হওয়া সম্পদের অংশগুলো দ্রুত বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রূপান্তর করেছে এবং একাধিক ব্লকচেইনে সেগুলো ছড়িয়ে দিয়েছে। এফবিআই আরও জানিয়েছে যে, উত্তর কোরিয়ার অভিযুক্ত অপরাধীরা পরে এই তহবিল পাচার করবে এবং শনাক্তকরণ এড়াতে ‘ফিয়াট মুদ্রায়’ রূপান্তর করবে।

বাইবিট, যার ছয় কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে, জানিয়েছে যে এই ঘটনা ঘটেছে ডিজিটাল ওয়ালেটের মধ্যে লেনদেনের সময়। হ্যাকাররা ‘হট ওয়ালেটে’ তহবিল স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া ব্যবহার করে প্রায় ৪ লাখ ১০ হাজার ইথেরিয়াম টোকেন (মূল্য প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার) চুরি করেছে।

এফবিআই চুরি হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারে সহায়তার জন্য সাইবার সিকিউরিটি ও ব্লকচেইন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এবং কোনো পরিমাণ অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য ১০ শতাংশ পুরষ্কার ঘোষণা করেছে।

উত্তর কোরিয়ার কথিত হ্যাকিং ইউনিট ‘ল্যাজারাস গ্রুপ’ পূর্ববর্তী ক্রিপ্টো চুরির সঙ্গে যুক্ত ছিল, এবং দেশটি ক্রিপ্টো চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।