গণঅধিকার পরিষদের বর্ধিত সভায় নুরুল হক নুরের হুঁশিয়ারি

“এনাফ ইজ এনাফ। যথেষ্ট হয়েছে, আমরা আর চুপচাপ থাকব না।”—এই দৃঢ় বার্তায় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলের আইডিবি মিলনায়তনে গণঅধিকার পরিষদের বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি অভিযোগ করেন, গত ছয় মাসে গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে মাত্র অল্প কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সংবাদ সম্মেলন করে প্রকৃত অবস্থা জানাতে হবে। আহত ও নিহতদের ক্যাটাগরি নির্ধারণে যে বৈষম্য করা হয়েছে, তা সংশোধন করা উচিত। বিভিন্ন কমিউনিটির যৌক্তিক দাবি-দাওয়াগুলো এখনো আমলে নেওয়া হয়নি, সংস্কারের কোনো বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। বরং দেশ চলছে পুরনো ধারায়, যা আর মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় আসার আগেই কিছু দলের আধিপত্য বেড়েছে এবং অন্যদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ রাজনৈতিক ফায়দা নিতে আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে চায়। তবে গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস বা কৃতিত্ব নিয়ে কাড়াকাড়ি করতে চান না তারা।
ছাত্র রাজনীতির প্রসঙ্গে নুরুল হক নুর বলেন, “যদি ছাত্র প্রতিনিধিরা ছাত্র অবস্থায় ডিসি-এসপিদের সঙ্গে নিয়োগ নিয়ে ডিল করে, তাহলে একটা চাঁদাবাজ প্রজন্ম তৈরি হবে।” গণঅধিকারের ব্যানার ব্যবহার করে কেউ যদি অনৈতিক সুবিধা নিতে চায়, তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি জানান, গণঅধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে নির্বাচনে লড়বে। যদিও এখনো কোনো দলের সঙ্গে জোট করা হয়নি, তবে ভবিষ্যতে জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানের আগেই আমরা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের কথা বলেছিলাম। আগামী নির্বাচন আনুপাতিক হারে হতে হবে।” প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে এই দাবি আদায় করা হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ার করেন।
অনুষ্ঠানে গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন, যেখানে তারা জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
আপনার মতামত লিখুন