১০ মিনিটের উত্তাপে কীভাবে ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির আলোচনা ভেঙে গিয়েছিল

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে একটি ইতিবাচক আলোচনা প্রত্যাশা করেছিলেন এবং তারপর হোয়াইট হাউস থেকে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বের হওয়ার কথা ছিল। তবে, পরিস্থিতি উল্টো হয়ে যায় এবং জেলেনস্কি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সামনে অপমানিত হন। বৈঠক চলাকালে ট্রাম্প এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে তার তীব্র বিতর্ক হয়।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়ার পর, জেলেনস্কি সায় দেননি, যা ট্রাম্প ও ভ্যান্সকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। তারা মনে করেন, জেলেনস্কি তাদের অসম্মান করছেন। এক পর্যায়ে তাকে হোয়াইট হাউস ছাড়তে বলা হয় এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনও বাতিল হয়। বৈঠকের শেষে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, “যতটুকু প্রস্তুত হবেন, শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য ফিরে আসবেন।”
বৈঠকের একাধিক উত্তপ্ত মুহূর্ত ছিল, যেগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল, জেলেনস্কি ও ভ্যান্সের মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ এবং ট্রাম্পের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া, যেখানে ট্রাম্প জেলেনস্কিকে সতর্ক করে দেন যে, তিনি যুদ্ধের বিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারেন না। এই উত্তপ্ত বৈঠকে, ট্রাম্প বলেন, “আপনারা একা ছিলেন না, আমরা আপনাদের ৩৫০০ কোটি ডলার দিয়েছি।” এক পর্যায়ে, ট্রাম্প এবং ভ্যান্স দুজনেই জেলেনস্কিকে ভর্ৎসনা করেন, এবং তার আচরণকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে উল্লেখ করেন।
এ ঘটনার পর, জেলেনস্কির কূটনৈতিক অবস্থান এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে তার যুদ্ধের সহায়তাকারী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের চিত্র আরও স্পষ্ট হয়, এবং বলা যায়, ট্রাম্পের কাছে এভাবে অপমানিত হওয়া যেন পুতিনের কাছে হেরে যাওয়ার মতোই ছিল।
আপনার মতামত লিখুন