সংস্কার কমিশন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করার প্রস্তাব দিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫, ৬:১৬ অপরাহ্ণ
সংস্কার কমিশন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করার প্রস্তাব দিয়েছে।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, ‘স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের’ নাম পরিবর্তন করে ‘জনপ্রতিষ্ঠান ও জনপ্রকৌশল মন্ত্রণালয়’ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তিনি আজ শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে স্থানীয় সরকারব্যবস্থায় নারী: চ্যালেঞ্জ, সুযোগ এবং করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই তথ্য জানান। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করেছে।

সেমিনারে আলোচনা হয় যে, জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন নারীদের ক্ষমতায়ন করতে পারছে না এবং এতে সাধারণ আসনে নারীর অংশগ্রহণ কমছে। স্থানীয় সরকারেও নারীরা অনেকাংশে ‘আলংকরিক’ অবস্থায় রয়েছেন, যেখানে তাঁদের সমান সুযোগ, ক্ষমতা এবং দায়িত্ব নেই।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, মন্ত্রণালয়ের নামের মধ্যে ‘পল্লী উন্নয়ন’ থাকলেও বর্তমানে এর কার্যক্রমে তেমন কোন সম্পর্ক নেই। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, মন্ত্রণালয় পর্যায়ে কিছু সংস্কারের প্রয়োজন, এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, কো-অপারেটিভস ও এনজিওগুলোর সমন্বয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিত।

তিনি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য একটি নির্দিষ্ট শিডিউলের প্রস্তাব দেন, যা নির্বাচনের ব্যয় এবং প্রার্থীদের খরচ কমাবে। তবে, সংস্কার প্রক্রিয়া সহজ হবে না, কারণ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ঐকমত্যের অভাব রয়েছে।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার জানান, জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০টি আসন সত্যিকার অর্থে তাঁদের ক্ষমতায়ন ঘটায় না, বরং তাঁদের ভূমিকা আংশিকভাবে আলংকরিক হয়ে থাকে।

স্থানীয় সরকারে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কয়েকটি প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরেন সেমিনারে বক্তারা, যেমন: সাংস্কৃতিক বাধা, রাজনৈতিক সহিংসতা, আর্থিক সীমাবদ্ধতা, এবং গৃহস্থালির দায়িত্ব।