সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি কোটার বিরুদ্ধে ছাত্রঅধিকার পরিষদের প্রতিবাদ

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫, ৬:০৩ অপরাহ্ণ
সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি কোটার বিরুদ্ধে ছাত্রঅধিকার পরিষদের প্রতিবাদ

জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহত পরিবারের সন্তানদের জন্য সরকারি বিদ্যালয়ে ৫ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ছাত্রঅধিকার পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি বনি আমিন মোল্লা বলেন, নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা চালু করা হয়েছে, যা বৈষম্যমূলক। তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন হয়েছিল এই বৈষম্যের অবসানের জন্য, এবং ২০২৪ সালে ফের কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় সরকার পরিবর্তন হয়। তবে মাত্র সাত মাসের মধ্যে সরকার নতুন করে বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করেছে, যা তাদের নীতির পরিপন্থী।

তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে এ ধরনের কোটা থাকা উচিত নয়। ছাত্রদের নেতৃত্বেই বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন হয়েছে এবং দেশের সকল নাগরিকের সমান অধিকারের স্বার্থেই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলবে।

তিনি আরও বলেন, রেল ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনও কোটা রয়েছে, অথচ সেখানে কোনো সংস্কারের উদ্যোগ না নিয়ে সরকার বিদ্যালয়ে ভর্তি কোটা চালুর দিকে মনোযোগ দিয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বৈষম্যমূলক পরিস্থিতি তৈরি করবে।

ছাত্রঅধিকার পরিষদের সভাপতি জানান, তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম এবং গোপালগঞ্জ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটার বিরুদ্ধেও আন্দোলন করেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতেও তারা এই কোটা ব্যবস্থার বিলোপ চান এবং দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।