বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ও ভিসা ইস্যুতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫, ১০:৫৬ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ও ভিসা ইস্যুতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন আশাবাদ প্রকাশ করেছেন যে, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন শিগগিরই সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হবে এবং বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সবসময় ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় এবং এ বিষয়ে সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান রয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থ উভয় পক্ষেরই রয়েছে।

বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ বলেন, এটি ভারতের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত, তাই এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ভারতীয় হাইকমিশন ভ্রমণে আগ্রহী বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে এবং তাদের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করবে।

গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান সীমিত করে দেয়। এদিকে, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতকে অনুরোধ করা হলেও, ঢাকা এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

তিস্তা প্রকল্পে চীনের সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তৌহিদ জানান, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে, যার অধীনে উভয় দেশ যেকোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে। তবে তিস্তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।

জানুয়ারির শেষের দিকে চীন সফরের সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চীনের বৃহত্তম ড্যাম—ইয়ারলুং সাংপো নদীতে নির্মিত প্রকল্প এবং তার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। চীনা কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে এই ড্যামের কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না, কারণ পানি প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা নেই।

এছাড়া, বাংলাদেশের গণতন্ত্র উন্নয়নে ২৯ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, এটি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে কোনোভাবে প্রভাবিত করবে না। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে, ইউএসএআইডি বাংলাদেশের দুটি ব্যক্তিমালিকানাধীন সংস্থাকে এই অর্থ দিয়েছে। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্তে এ ধরনের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।