চীনকে চাপের মধ্যে রাখতে কি পুতিনকে নিজের পাশে আনছেন ট্রাম্প?

হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিতর্কের পর ইউক্রেনের ব্যাংক কর্মকর্তা জিনাইদা শেলেনেঙ্কো এখনও হতবাক। তিনি মনে করেন, ট্রাম্প এবং ভ্যান্স যেভাবে জেলেনস্কিকে আক্রমণ করেছেন, তা তাদের ‘ডাকাত’ হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। শেলেনেঙ্কো বলেন, “তারা মাফিয়া সদস্যের মতো আচরণ করেছেন, যা ছিল অপমানজনক।” তবে ট্রাম্প গত সোমবার যখন ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সামরিক সহায়তা স্থগিত করেছেন, তখন এতে তিনি অবাক হননি।
শুক্রবারের বিতর্কের পর, ট্রাম্প এবং জেলেনস্কি দুজনেই সুর নরম করেছেন, কিন্তু শেলেনেঙ্কো মনে করেন, এই ঘটনার পর পুতিনই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন। তিনি বলেন, “এখন সবচেয়ে খুশি ক্রেমলিনের সেই ‘শিশু হত্যাকারী’।”
মুখপাত্র মিখাইলো জিরোকভের মতে, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটি বড় আর্থিক ও আইনগত সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। এতে আরও সমস্যায় পড়বে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, যা মূলত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের ওপর নির্ভরশীল।
ইগার তিশকেভিচের মতে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের পিছনে একটি ভূরাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে, যেখানে তিনি ইউক্রেনকে চীনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চান এবং মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছেন।
শেষে, গবেষক নিকোলাই মিত্রোখিন মনে করেন, এই পদক্ষেপে ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা আনার দায়িত্ব ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য দেশের উপর চলে যাবে, যা ইউক্রেনকে আরও বেশি সাহায্য করতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন