দ্বৈত নাগরিকত্বের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫, ১১:৪৮ অপরাহ্ণ
দ্বৈত নাগরিকত্বের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য বর্তমানে ১০১টি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণের সুযোগ রয়েছে, যা আইনের মাধ্যমে অনুমোদিত। তবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মন্ত্রী-এমপিরা এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন না। তবুও, অনেকেই এই আইন লঙ্ঘন করে দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন, কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো বড় ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে, যাঁদের বৈধভাবে দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার সুযোগ রয়েছে, তাঁরা অনেক সময় সরকারের পক্ষ থেকে নানা বিড়ম্বনার শিকার হন। এদিকে, বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে, এবং এর সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ ছাড়িয়েছে। সরকারি সনদপ্রাপ্ত দ্বৈত নাগরিকের সংখ্যা ৩৪ হাজার ১৫৭ জন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন।

প্রধানত, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা শ্রেণির মানুষ বৈধভাবে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে থাকেন, কিন্তু সরকারি চাকরি বা মন্ত্রিসভায় থাকা ব্যক্তিরা এ সুযোগ নিতে পারেন না। বিভিন্ন সাবেক মন্ত্রী ও এমপিরাও অবৈধভাবে দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন, যেমন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সাইপ্রাসের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাধারণত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, যদিও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এসবের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।

২০২৩ সালে, দ্বৈত নাগরিকত্বের পরিসর আরও সম্প্রসারিত করা হয়েছে, যার ফলে ১০১টি দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণের সুযোগ এখন বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত। এর মধ্যে আফ্রিকা, আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান এবং ওশেনিয়া মহাদেশের বেশ কয়েকটি দেশ নতুন করে যুক্ত হয়েছে। তবে প্রতিবেশী দেশগুলি, যেমন ভারত, নেপাল, ও আফগানিস্তানে দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ নিষিদ্ধ।