আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসবের জন্য ছুটি দেওয়ার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৫:৫৬ অপরাহ্ণ
আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসবের জন্য ছুটি দেওয়ার দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ১২টি আদিবাসী ছাত্রসংগঠনের উদ্যোগে আজ এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং সমতলের আদিবাসী জনগণের নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে সরকারি ছুটি দাবি করা হয়। সংগঠনগুলোর দাবি, সারা দেশে সরকারি, বেসরকারি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আদিবাসীদের প্রধান সামাজিক উৎসবকে স্বীকৃতি দিয়ে ছুটি ঘোষণা করা উচিত।

বিএমএসসি ঢাকা মহানগরের নুমং প্রু মারমা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অনন্ত তঞ্চঙ্গ্যা। বক্তব্যে তিনি জানান, পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে চৈত্রসংক্রান্তি বা নতুন বছর উদযাপন ঐতিহ্যবাহীভাবে বিভিন্ন নামে পালিত হয়ে আসছে, যেমন ম্রোরা চাংক্রান, মারমারা সাংগ্রাই, ত্রিপুরারা বৈসু, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু এবং চাকমারা বিজু।

তিনি বলেন, এই উৎসব উপলক্ষে কোনো সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়নি, যার ফলে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা, চাকরিজীবীরা এবং শ্রমিকরা নিজেদের পরিবারে উৎসব উদযাপন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শহরের আদিবাসী শিশু এবং শিক্ষার্থীরা তাঁদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না, যদিও বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য ছুটি দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয় যে, ১২ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি ছুটি ঘোষণা, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন, এবং উৎসবের সময় আদিবাসী কর্মচারীদের ছুটি দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন আদিবাসী ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যেমন পিসিপির সাধারণ সম্পাদক রুমেন চাকমা, শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো ছাত্রসংগঠনের পায়া ম্রো, এবং বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার ফোরামের স্নেহলাল তঞ্চঙ্গ্যা।