গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিচয় শনাক্তে সিআইডির বিশেষ উদ্যোগ

গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে বহু ছাত্র-জনতা শহীদ হন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের পরিচয় এখনো অজ্ঞাত রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানিয়েছে, এসব শহীদের ডিএনএ নমুনা ফরেনসিক ল্যাবে সংরক্ষিত রয়েছে, যা আত্মীয়-স্বজনের তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৯ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানায়, শহীদদের নিকটতম আত্মীয়—বিশেষ করে বাবা, মা, সন্তান বা সহোদররা ডিএনএ নমুনা দিতে পারেন। নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হলে পরিবারের সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।

সিআইডির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, অনেক শহীদের মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, কারণ তাদের কাছে কোনো পরিচয়পত্র ছিল না বা দীর্ঘ সময় পর দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছিল। এখনো অনেক পরিবার তাদের নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজে চলেছে। যদি কোনো পরিবার মনে করে তাদের প্রিয়জন ওই সময় নিখোঁজ বা শহীদ হয়েছেন, তবে তাদের নিকটাত্মীয়দের সিআইডির ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে যেতে হবে।

সিআইডি আশ্বাস দিয়েছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য তারা কাজ করে যাচ্ছে এবং শহীদদের পরিবার যেন যথাযথ মর্যাদা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়, সে লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তাদের পরিচয় পুনঃপ্রতিষ্ঠার এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) ইনামুল হক সাগর গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।