দূষণ রোধে পরিচালিত অভিযানে ৪৬২টি ইটভাটা বন্ধ করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৬:০৮ অপরাহ্ণ
দূষণ রোধে পরিচালিত অভিযানে ৪৬২টি ইটভাটা বন্ধ করা হয়েছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সোমবার (১০ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, দূষণ নিয়ন্ত্রণে চলমান অভিযানে ৪৬২টি ইটভাটা বন্ধ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযানে কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী যানবাহন, বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটা, স্টিল মিল, শব্দদূষণ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নির্গমন, সীসা/ব্যাটারি রিসাইক্লিং কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পাইরোলাইসিস, চারকোল কারখানা এবং খোলা অবস্থায় নির্মাণসামগ্রী রাখার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ অভিযানে ১,৩৬৩টি মামলা করা হয়েছে এবং মোট ১৯ কোটি ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া, ৩০৫টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়, ১৫৭টি ইটভাটাকে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং ৬০টি ভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। ৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৬ ট্রাক সীসা/ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে।

এছাড়া, ৯ মার্চ ঢাকায় হাতিরঝিল, মগবাজার, আদাবর, আফতাবনগর, বাড্ডা এবং ধানমন্ডি এলাকায় বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২২ অনুসারে ৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়, যেখানে ১১টি মামলায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। নারায়ণগঞ্জে কঠিন বর্জ্য বিধিমালা ২০২১ অনুসারে রেডিমিক্স কারখানার বিরুদ্ধে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়, যাতে তিনটি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, নীলফামারী, ঝিনাইদহ, ভোলা, সিরাজগঞ্জ, মেহেরপুর, মৌলভীবাজার, পিরোজপুর, গাইবান্ধা, শরীয়তপুর, বরগুনা, ঠাকুরগাঁও, বগুড়া এবং শেরপুর জেলায় ২০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়, যেখানে ১৯টি মামলায় ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ২২টি ইটভাটার কিলন ভেঙে এবং কাঁচা ইট ধ্বংস করে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে, এবং ৩টি ইটভাটাকে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান চালিয়ে যাবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।