বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়েছে মুডিস, যা ব্যাংক খাত নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ৭:২৯ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়েছে মুডিস, যা ব্যাংক খাত নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

বুধবার (১২ মার্চ) প্রকাশিত মুডিসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে, যা সম্পদের মানের অবনতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে ঘটেছে। মুডিসের মতে, ঋণমান কমানোর প্রধান চারটি কারণ হল: ১. অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি, ২. ব্যাংকগুলোর ঝুঁকির বৃদ্ধি, ৩. খেলাপি ঋণের দ্রুত বৃদ্ধি, এবং ৪. মূল্যস্ফীতির উর্ধ্বগতি।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাজনৈতিক এবং সামাজিক অস্থিরতা, পোশাক খাতের সরবরাহ শৃঙ্খলে বিঘ্ন, এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা হ্রাস অর্থনৈতিক মন্দার কারণ। এছাড়া, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৫ মাসের ব্যবধানে নীতিগত সুদের হার ৬% থেকে বাড়িয়ে ১০% করেছে, তবে ২০২৫ সালেও মূল্যস্ফীতি ৯.৮% পর্যায়ে থাকতে পারে বলে মুডিস আশঙ্কা করছে।

মুডিসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে নিম্নমুখী এবং ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪.৫% হতে পারে, যা আগের বছরের ৫.৮% থেকে কম। এছাড়া, খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ১৭% হয়ে গেছে, যা ৯ মাস আগে ছিল ৯%। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মূলধন পরিস্থিতি নেতিবাচক (-২.৫%) হওয়ায়, সরকারের সহায়তা ছাড়া তাদের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবং খেলাপি ঋণ কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তবে মুডিসের মতে, ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর নিয়ম আসবে এবং ব্যাংকগুলোর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, জীবনযাত্রা আরও কঠিন হতে পারে, ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে, পণ্যের দাম বাড়তে পারে এবং চাকরি বাজারে প্রভাব পড়তে পারে।