বিজিএপিএমইএ ৫ বছরের জন্য উৎসে কর কমানোর দাবি তুলেছে।

পাঁচ বছরের জন্য পণ্য রপ্তানিতে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৫ শতাংশ করার দাবি তুলেছে তৈরি পোশাক শিল্পের সরঞ্জাম ও মোড়কপণ্য সরবরাহকারী কারখানামালিকদের সংগঠন বিজিএপিএমইএ। সংগঠনটি আরও দাবি করেছে, স্থানীয় বাজার থেকে কেনা কাঁচামালের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার, স্থায়ী বা অস্থায়ী আন্তঃবন্ড স্থানান্তরের ব্যবস্থা এবং একসঙ্গে দুই বছরের জন্য আমদানিপ্রাপ্যতা দেওয়া।
এই দাবিগুলো আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য বিজিএপিএমইএ জানিয়ে দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব দাবি তুলে ধরেন বিজিএপিএমইএ সভাপতি মো. শাহরিয়ার।
বিজিএপিএমইএ জানায়, বাংলাদেশ এখন তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন খাতের সরঞ্জাম ও মোড়কপণ্য উৎপাদনে স্বাবলম্বী। বর্তমানে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ৩০ থেকে ৩৫ ধরনের পোশাক সরঞ্জাম ও অন্যান্য খাতের মোড়ক তৈরি করছে। বিজিএপিএমইএ সদস্যসংখ্যা প্রায় দেড় হাজার।
মো. শাহরিয়ার দাবি করেন, কাঁচামালের আমদানি প্রাপ্যতা দুই বছরের জন্য দেওয়া হলে এটি সেবাদাতা ও গ্রহীতা উভয়ের জন্য সময়, শ্রম ও অর্থ সাশ্রয়ী হবে। এছাড়া, বন্ডের আওতায় বিনা শুল্কে আমদানির সুযোগ থাকায় রাজস্বে কোনো প্রভাব পড়বে না। তিনি কন্টিনিউয়াস বন্ড সুবিধা চেয়েছেন, যা তৈরি পোশাক খাতের মতো এই উপখাতের প্রতিষ্ঠানগুলোতে না থাকলে উৎপাদন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয় এবং রপ্তানি কমে যায়।
তিনি আরও বলেন, কোম্পানির সঞ্চয়ী ও স্থায়ী আমানতের মুনাফার ওপর উৎসে কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন, কারণ বর্তমানে দেশের ব্যাংকগুলোতে তারল্যসংকট রয়েছে। সঞ্চয়ী বিনিয়োগ বৃদ্ধি হলে তা দেশের রপ্তানি বাড়াতে সাহায্য করবে।
পাঁচ বছরের জন্য উৎসে কর কমানোর দাবির পেছনে তার যুক্তি হলো, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে আর্থিক প্রণোদনা কমিয়ে দেওয়া হবে, যা কিছু পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকার জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই উৎসে কর কমালে রপ্তানি বাড়বে।
আপনার মতামত লিখুন