চীনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফর: বাংলাদেশের নতুন কূটনৈতিক উদ্যোগ

আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফর নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। এই সফরে চীন সরকার তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে এই সফরটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
ড. ইউনূস ২৭ মার্চ চীনের হাইনান প্রদেশের বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। পরের দিন বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা রয়েছে। এছাড়া, তিনি পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেবেন এবং সেখানে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করবেন।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে জানা যায়, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। এই প্রেক্ষাপটে, ড. ইউনূসের চীন সফর বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে। সফরের সময় চীনা বিনিয়োগ নিশ্চিত করা এবং বিভিন্ন যৌথ প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ২০০৬ সালে চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়। গত বছর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যেখানে চীনা রপ্তানি ছিল ২২.৮৮ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া, বাংলাদেশ বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে যোগদানকারী প্রথম দক্ষিণ এশীয় দেশ, যা চীনের সঙ্গে তার সম্পর্কের গভীরতা নির্দেশ করে।
ড. ইউনূসের এই সফর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে পারে এবং নতুন অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সুযোগের দ্বার উন্মোচন করতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন