তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ প্রধানমন্ত্রী কামেল মাদৌরিকে বরখাস্ত করেছেন

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ গত বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাতে প্রধানমন্ত্রী কামেল মাদৌরিকে বরখাস্ত করেছেন। তাঁর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক স্থবিরতা এবং অন্যান্য সমস্যার প্রেক্ষাপটে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
গণপূর্তমন্ত্রী সারা জাফরানি জেনজরি গত বছর আগস্টে মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল করে মাদৌরির স্থলাভিষিক্ত হন। তিউনিসিয়ার সরকারের উচ্চ বেকারত্ব, মন্থর প্রবৃদ্ধি, এবং ঋণের বোঝা নিয়ে সাম্প্রতিক অসন্তোষের মধ্যে মাদৌরির কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
২০২৪ সালের আগস্টে মাদৌরিকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেছিলেন প্রেসিডেন্ট সাইদ, সেই সময় তিনি আরও ১৯ জন মন্ত্রীকে রদবদল করেন। এই পদক্ষেপের ফলে মাদৌরিকে বরখাস্ত করার পূর্ণ ক্ষমতা পেয়েছিলেন সাইদ, এবং তিনি ‘রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ স্বার্থ’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ রক্ষার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ফেব্রুয়ারি মাসে সাইদ অর্থমন্ত্রী সিহেম বোঘদিরি নেমসিয়াকে বরখাস্ত করেন, যিনি মিচেট স্লামা খালদিকে বদলেছিলেন।
সাইদ ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২০২১ সালে তিনি এক বিশাল ক্ষমতা দখলের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন, যা সমালোচকদের মতে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ও অধিকার হরণের কারণ ছিল। তবে, সাইদের সমর্থকরা বলেন, তিনি দেশটির অদক্ষতার বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন।
এদিকে, তিউনিসিয়া বর্তমানে মৌলিক জিনিসপত্রের ঘাটতি এবং উচ্চ বেকারত্বের সমস্যায় ভুগছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পূর্বাভাস দিয়েছে যে, ২০২৫ সালে তিউনিসিয়ার বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মাত্র ১.৬ শতাংশ হবে, এবং ঋণের পরিমাণ বর্তমানে জিডিপির প্রায় ৮০ শতাংশ, যা ২০১৯ সালে সাইদ ক্ষমতায় আসার সময় ছিল ৬৭ শতাংশ।
আপনার মতামত লিখুন