সংবিধান সংস্কারে গণভোটের প্রস্তাব দিল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। দলটির প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম জানিয়েছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে তারা ১৫১টিতে একমত, ১০টিতে আংশিক একমত এবং ৫টিতে দ্বিমত পোষণ করেছে।
রোববার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হাসনাত কাইয়ুম। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলে গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার করা যেতে পারে। তবে এটি নির্বাচনের আগেই সম্পন্ন হওয়া উচিত, যেন এটি ভবিষ্যতে নির্বাচিত সংসদের হাতে চলে না যায়। তিনি এটিও উল্লেখ করেন যে, এটি গণভোট বা সংবিধান সংস্কার সভার মাধ্যমে করা যেতে পারে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের পক্ষ থেকে আরও কিছু প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। তারা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিমালার নাম পরিবর্তন করে “ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি” রাখার পক্ষে মত দিয়েছে। এছাড়া, মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে প্রতিটি জেলায় নাগরিক আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। পুরনো ১৯টি জেলায় জেলা সরকার গঠন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যা অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক স্বাধীনতা পাবে। পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আদলে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক ট্রাইব্যুনাল গঠনেরও প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন নির্ধারিত ছয় মাসের মধ্যেই সম্ভব বলে মনে করেন হাসনাত কাইয়ুম। তবে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কারের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরই প্রাধান্য দেওয়া হবে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় অনির্বাচিত প্রতিনিধির সংখ্যা বেশি মনে হতে পারে, যা তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার কনসেপ্টের বিরোধী নয়।
আপনার মতামত লিখুন