কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি আগামী নির্বাচন ঘোষণা করবেন

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি রোববার (২৩ মার্চ) আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সিদ্ধান্তের পেছনে প্রধান কারণ হলো, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ এবং ‘সংযুক্তির হুমকি’ মোকাবিলায় আরও শক্তিশালী ম্যান্ডেটের প্রয়োজন।
জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হয়ে সম্প্রতি মধ্যপন্থী লিবারেল পার্টির নেতা মার্ক কার্নি কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তবে তিনি এখনও বৃহত্তর কানাডিয়ান ভোটারদের মুখোমুখি হননি। সরকারি সূত্র জানায়, কার্নি স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে কানাডার ৪১ মিলিয়ন জনসংখ্যার উদ্দেশে তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।
লিবারেল সরকার গত এক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকলেও দেশের মধ্যে অজনপ্রিয়তা সৃষ্টি হয়েছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হুমকি এবং কানাডার প্রতি তার সমালোচনার ফলে কার্নি কানাডিয়ান দেশপ্রেমের মধ্যে নতুন সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের আশা করছেন।
ট্রাম্প বারবার কানাডার সার্বভৌমত্ব এবং সীমান্তকে নাকচ করেছেন এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছে। এর ফলে কানাডার ক্ষমতাসীনরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডা থেকে আমদানির ওপর শুল্ক আরোপের ফলে দেশটির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কার্নি বলেন, এই সংকটের সময়ে সরকারের একটি শক্তিশালী ম্যান্ডেট প্রয়োজন। কানাডার নির্বাচনে সাধারণত জীবনযাত্রার ব্যয় এবং অভিবাসন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও, এবছর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সবচেয়ে ভালোভাবে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নির্বাচনের প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৬০ বছর বয়সী কার্নি, যিনি তার ক্যারিয়ারে ব্যাংকিং ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেতৃত্ব দিয়েছেন, এখন নির্বাচনী রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন। তার বক্তব্য, যদি কানাডিয়ানরা একটি বৃহৎ ম্যান্ডেট প্রদান করে, তবে ছোট বিরোধী দলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন