এ বছর জাতীয়ভাবে নববর্ষ উদযাপন হবে আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে।

এ বছর বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন হবে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উৎসব হিসেবে। প্রথমবারের মতো, বাংলাদেশ সরকার বাংলা নববর্ষ, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো এবং অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীদের নিয়ে একটি সার্বজনীন উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে। সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি জানিয়েছেন, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ১৩ এপ্রিল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি চৈত্র সংক্রান্তি কনসার্ট আয়োজন করা হবে, যেখানে মাইলস, ওয়ারফেজ, দলছুট, এভোয়েড রাফা, ভাইকিংস এবং স্টোন ফ্রি ব্যান্ড দল গান পরিবেশন করবে।

এবারের নববর্ষ উদযাপনে দেশব্যাপী সব জেলা ও উপজেলায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে আগের বরাদ্দের দ্বিগুণ অর্থ দেওয়া হয়েছে। জেলা পর্যায়ে ১ লাখ টাকা এবং উপজেলা পর্যায়ে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও, এ বছর পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। “সুরের ধারার হাজার কন্ঠের গান” উন্মুক্ত চত্বরে অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে পরিবেশন হবে।

এছাড়া, চৈত্রসংক্রান্তিতে বিভিন্ন ব্যান্ড দলের পরিবেশনার পাশাপাশি বাউল-ফকিরদের অংশগ্রহণেও বিশেষ পরিবেশনা থাকবে। পহেলা বৈশাখের সন্ধ্যায় মানিক মিয়া এভিনিউয়ে ড্রোন শো প্রদর্শিত হবে, যা চীন সরকারের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হবে।