হেফাজতে ইসলামের দাবি: আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ
হেফাজতে ইসলামের দাবি: আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

রোববার (২৩ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত, তাই তাদের নিষিদ্ধ করা জরুরি। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব পক্ষের সম্মিলিত সমর্থন ও সমন্বয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্দিষ্ট কৌশল ও পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। তাদের মতে, আওয়ামী পরিচয়ে কোনো সামাজিক ও রাজনৈতিক তৎপরতা চলতে দেওয়া উচিত নয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শাপলা চত্বরের ঘটনার বিচারসহ পিলখানা হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন এবং সাম্প্রতিক গণহত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এসব ঘটনায় গভীর তদন্তের প্রয়োজন বলে মনে করেন হেফাজতের নেতৃবৃন্দ। তারা সতর্ক করে বলেন, যারা এই ন্যায়বিচারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তারা জনগণ ও দেশের স্বাধীনতার শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হবে।

জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের বক্তব্য, এটি কোনো একক গোষ্ঠী বা ব্যক্তির ইচ্ছার ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। বরং রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তারা দাবি করেন, বাংলাদেশকে পুরনো ফ্যাসিবাদী কাঠামোর দিকে ঠেলে দেওয়া যাবে না।

দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণের ধর্মীয় চেতনা, সংস্কৃতি ও শিক্ষা অক্ষুণ্ন রেখে রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারের আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, পাশ্চাত্য ও হিন্দুত্ববাদী চেতনা নির্ভর দর্শন কখনোই কল্যাণ বয়ে আনবে না। তাদের মতে, কোনো রাজনৈতিক দল আলেম-ওলামা ও তৌহিদি জনতার সমর্থন ছাড়া বৈধভাবে ক্ষমতায় যেতে বা টিকে থাকতে পারবে না।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ছয় মাসের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তাদের মনে হয়েছে, শুধুমাত্র রাষ্ট্র কাঠামো নয়, উপদেষ্টা পরিষদেরও সংস্কার প্রয়োজন। অনেক উপদেষ্টার অদক্ষতা ও ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এবং তাদের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার অভাব রয়েছে। হেফাজত নেতারা অভিযোগ করেন, কেউ কেউ দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে শুধুমাত্র ক্ষমতা ভোগ করছেন, যা জনগণের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে। তারা সতর্ক করেন, এভাবে দেশ পরিচালনা করা সম্ভব নয় এবং পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন প্রয়োজন।