গাজায় টানা নবম দিনের মতো ইসরায়েলের হামলা, নিহত ও বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ৩:৩২ অপরাহ্ণ
গাজায় টানা নবম দিনের মতো ইসরায়েলের হামলা, নিহত ও বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে

যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ইসরায়েল টানা নবম দিনের মতো গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ হামলায় শিশুসহ কমপক্ষে ৩৯ জন নিহত হয়েছে এবং ১২৪ জন আহত হয়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানা গেছে, উত্তর গাজার জাবালিয়া, দক্ষিণের খান ইউনিস ও রাফাহসহ পুরো উপত্যকাজুড়ে বিমান ও স্থল হামলা অব্যাহত রয়েছে।

জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, ১৮ মার্চ ইসরায়েল পুনরায় হামলা শুরু করার পর থেকে গাজায় ১ লাখ ৪২ হাজার ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। অনেক মানুষ শুধুমাত্র হাতে গোনা কিছু ব্যক্তিগত সামগ্রী নিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে। তারা এখন রাস্তায় অবস্থান করছে এবং খাবার, পানি ও আশ্রয়ের তীব্র সংকটে ভুগছে।

জাবালিয়ায় ইসরায়েলি সামরিক বিমান বেসামরিক লোকে পরিপূর্ণ একটি বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে, যার ফলে অন্তত আটজন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ছয় মাস বয়সী এক শিশুও ছিল। এছাড়া, গাজার মধ্যাঞ্চলের বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে একটি আবাসিক ফ্ল্যাটেও হামলা চালানো হয়, যেখানে এক শিশু প্রাণ হারায়।

আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আযম দেইর এল-বালাহ থেকে জানিয়েছেন, রাতটি ছিল চরম ধ্বংসযজ্ঞে ভরা। ইসরায়েলি বাহিনী মধ্য ও উত্তর গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ব্যাপকভাবে বোমাবর্ষণ করেছে। অন্যদিকে, গাজা শহর থেকে আল জাজিরার হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মরিয়া হয়ে ঘুরছে। তাঁবুস্থল, জনাকীর্ণ স্থান কিংবা আংশিকভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনেও আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে তারা।

এদিকে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় গাজার জনগণের মধ্যে আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে। পরিস্থিতি ক্রমশ আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে, আর মানবিক সংকটও চরম আকার ধারণ করেছে।