নববর্ষের শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকেছেন চারুকলা বিভাগের ২৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ৪:৩২ অপরাহ্ণ
নববর্ষের শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকেছেন চারুকলা বিভাগের ২৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ২৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা (২০১৭-১৮ সেশন) ২৬শে মার্চ  ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ সম্পর্কে স্পষ্ট বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁরা এবারের বৈশাখী আয়োজনে নিজেদের কোন ধরণের সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন। তবে চারুকলা অনুষদের ডিন জানিয়েছেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি গ্রুপ বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তিনি জানান, এ বছর ছাত্র-শিক্ষক সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে শোভাযাত্রা আয়োজন করা হচ্ছে যেন তা সঠিকভাবে পরিচালিত হয় এবং সবার জন্য দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করা যায়।

শিক্ষার্থীরা বিবৃতিতে বলেন, বৈশাখের অনুষ্ঠান সাধারণত প্রতি বছর নির্দিষ্ট ব্যাচের তত্ত্বাবধানে এবং শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের যৌথ প্রচেষ্টায় আয়োজিত হয়, যার অর্থ মূলত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের শিল্পকর্ম বিক্রির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু এবারের আয়োজন পূর্বের রীতির বিপরীতভাবে, কোন শিক্ষার্থীদের সম্মতি ছাড়াই শুধু শিক্ষকদের সিদ্ধান্তে করা হয়েছে, যা তাদের বিশ্বাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। শিক্ষার্থীরা আরও জানান, শোভাযাত্রার ডিজাইন ও আইডিয়া পুরোপুরি শিক্ষকদের দেওয়া, এবং তারা শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে স্ট্রাকচার তৈরির ব্যাপারে কিছু জানতেন না। তারা উল্লেখ করেছেন, এবারের বৈশাখে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত কিছু বিষয় ছিল, এবং চাটুকারিতাপূর্ণ মনোভাবের কারণে তারা এই আয়োজন সমর্থন করছেন না।

এ বিষয়ে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম শেখ জানিয়েছেন, শুরুর দিকে শোভাযাত্রাটি ছাত্র-শিক্ষক সকলের অংশগ্রহণে আয়োজিত হতো, তবে ২০০৫ সাল থেকে এটি একটি নির্দিষ্ট ব্যাচের তত্ত্বাবধানে দেওয়া হয়েছে। তবে, এবারের আয়োজন একটি একাডেমিক কাজ, তাই সুষ্ঠু জবাবদিহি এবং বৈশ্বিক মান সম্মান রক্ষার জন্য ছাত্র-শিক্ষক সকলের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হচ্ছে।