এলডিসি থেকে উত্তরণে পূর্ণ গতি নিয়ে প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের

বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ প্রক্রিয়ায় পূর্ণ গতিতে এগিয়ে যেতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “উই হ্যাভ টু মুভ ইন ফুল স্পিড (আমাদের পূর্ণ গতি নিয়ে এগোতে হবে)।” এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি গ্রহণ এবং সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব তথ্য জানান।
সভায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সরকারি ও এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী একটি বিশ্লেষণধর্মী পেপার উপস্থাপন করেন। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী ওই সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়—কীভাবে এলডিসি থেকে উত্তরণ হবে, এর প্রস্তুতি কীভাবে নেওয়া হবে এবং উত্তরণের ফলে সম্ভাব্য ঝুঁকি ও চাপ মোকাবেলায় কী ধরনের পরিকল্পনা প্রয়োজন।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে যেন কোনো খাত ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেন কাঙ্ক্ষিত সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারে, সে দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। এ ছাড়া, বাংলাদেশকে একটি ম্যানুফ্যাকচারিং ও অর্থনৈতিক হাবে পরিণত করার পরিকল্পনার কথাও তিনি জানান।
সভায় সম্ভাব্য ঝুঁকিতে থাকা স্টেকহোল্ডারদের সুরক্ষায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন, বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার, পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা রিজওয়ান হাসান চৌধুরী, মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমান খান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুরসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।
এই উদ্যোগ এলডিসি উত্তরণকে কার্যকর, টেকসই এবং অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের আন্তরিকতার প্রতিফলন বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আপনার মতামত লিখুন