প্রাইম এশিয়া শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যা: প্রধান আসামি মেহেরাজের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব এ আদেশ দেন। বনানী থানার তদন্ত কর্মকর্তা এ কে এম মাইন উদ্দিন তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর এবং জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
গত ২৩ এপ্রিল গাইবান্ধা থেকে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে মেহেরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইতোমধ্যে মামলার বাকি ছয় আসামিকেও আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এবং বাকিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পেছনে রয়েছে এক মর্মান্তিক মুহূর্ত: গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে পরীক্ষা শেষে বনানীর একটি দোকানে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন পারভেজ। এ সময় পাশের দোকানে থাকা দুই নারী শিক্ষার্থীকে দেখে হাস্যরস করলে, তারা তাদের বয়ফ্রেন্ডদের ডেকে আনেন। এরপর পারভেজকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় পারভেজের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ মোট আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আরও ২৫ থেকে ৩০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে আল কামাল শেখ ওরফে কামাল, আলভী হোসেন জুনায়েদ এবং আল আমিন সানি—তিনজনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। এদের মধ্যে কামাল আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। একই দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানা কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব মো. হৃদয় মিয়াজীর সাত দিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করা হয়। বৃহস্পতিবার মো. মাহাথির হাসানও দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
ঘটনার জটিলতা ও হত্যার পেছনের উসকানিমূলক প্রেক্ষাপট এখন জনমনে প্রশ্ন তুলেছে, শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতার বিস্তার কতটা গভীরে পৌঁছেছে।
আপনার মতামত লিখুন