কিম জং উনের মতে, রাশিয়ার কুরস্ক মুক্তির অভিযানে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের অংশগ্রহণ ছিল একটি ‘পবিত্র মিশন’

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ৩:২১ অপরাহ্ণ
কিম জং উনের মতে, রাশিয়ার কুরস্ক মুক্তির অভিযানে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের অংশগ্রহণ ছিল একটি ‘পবিত্র মিশন’

উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করার অভিযানে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের অংশগ্রহণকে একটি ‘পবিত্র মিশন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর মতে, এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল মস্কোর সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও জোরদার করা। কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কিম শিগগিরই পিয়ংইয়ংয়ে সৈন্যদের স্মরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিম জং উন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন যে, এই যুদ্ধের অংশগ্রহণ উত্তর কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ছিল একটি ‘পবিত্র মিশন’, যার লক্ষ্য ছিল দুই দেশের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব এবং সংহতি সুদৃঢ় করা, এবং উভয় দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা। কিম আরও বলেন, এই অভিযানের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার সম্মান রক্ষা করা হয়েছে।

বিবৃতির মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কিম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তির ৪ নং ধারা কার্যকর করা প্রয়োজন ছিল। সেই অনুযায়ী, কোরিয়ান বাহিনীকে ‘ইউক্রেনীয় নব্য-নাৎসি আক্রমণকারীদের পরাজিত ও নির্মূল করার এবং রাশিয়ান বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কুরস্ক অঞ্চলের কিছু এলাকা মুক্ত করার’ নির্দেশ দেন কিম।

কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি অনুসারে, কিম কুরস্ক মুক্তির অভিযানে অংশগ্রহণকারী সৈন্যদের ‘ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করা বীর’ হিসেবে প্রশংসা করেছেন। ২৬ এপ্রিল, রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে জানান, ২০২৪ সালের আগস্টে ইউক্রেনীয় বাহিনী থেকে কুরস্ক মুক্ত করার অভিযান শেষ হয়েছে, এবং গেরাসিমভ এই অভিযানে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।

এটি উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তির ৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে, যেখানে বলা হয়েছে, কোনো পক্ষ যদি অন্য দেশের আক্রমণের শিকার হয়, তবে অন্য পক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে সামরিক সহায়তা প্রদান করবে।