নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত সুপারিশ পর্যালোচনায় হাইকোর্টে রিট

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: রবিবার, ৪ মে, ২০২৫, ৪:৪৬ অপরাহ্ণ
নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত সুপারিশ পর্যালোচনায় হাইকোর্টে রিট

নারী সংস্কার কমিশনের ‘বিতর্কিত ও সাংঘর্ষিক’ সুপারিশগুলোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং সেগুলো পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৪ মে) জনস্বার্থে আইনজীবী রওশন আলী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদন করেন। একই সঙ্গে রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন না করার আদেশও চাওয়া হয়েছে।

রিটে বলা হয়, সম্প্রতি আলোচিত ‘উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট, ২০২৫’-এর ৩১৮ পৃষ্ঠাব্যাপী প্রতিবেদনের বিভিন্ন অধ্যায়ে ইসলামি শরিয়তের বিধান, ধর্মীয় অনুভূতি ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়েছে। বিশেষ করে, অধ্যায় ৩, ৪, ৬, ১০, ১১ এবং ১২ এ যেসব প্রস্তাবনা এসেছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

রিটে পাঁচটি মূল আপত্তির কথা উল্লেখ করা হয়:
প্রথমত, অধ্যায় ১১-তে পুরুষ ও নারীর সমান উত্তরাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব, যা কোরআনের সুরা নিসা (৪:১১)-এর পরিপন্থি বলে দাবি করা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব শরিয়তের অনুমোদিত বিধানকে লঙ্ঘন করে এবং সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদের ধর্মচর্চার অধিকার ক্ষুন্ন করে।
তৃতীয়ত, “আমার শরীর, আমার পছন্দ” স্লোগানকে অন্ধভাবে সমর্থনের মাধ্যমে নৈতিক সীমা অতিক্রম করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
চতুর্থত, যৌনকর্মকে বৈধ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব ইসলামি মূল্যবোধ ও সংবিধানের ২(ক) এবং ২৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি বলে উল্লেখ করা হয়।
পঞ্চমত, লিঙ্গ পরিচয় ও ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ক ভাষা শরিয়ত ও ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

রিটে তিনটি মন্ত্রণালয় এবং উইমেন রিফর্ম কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে। বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহেই রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে।