কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় উত্তেজনা, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলি

কাশ্মীরে পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহতের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। এ ঘটনায়, দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর টানা ১১ রাত ধরে গোলাগুলি হয়েছে এবং উভয় দেশ নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এর আগে, ভারতের কেন্দ্র সরকার বেশ কয়েকটি রাজ্যকে নিরাপত্তা মহড়ার নির্দেশ দিয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ৭ মে যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য মহড়ার নির্দেশ দিয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষকেও অংশগ্রহণ করতে হবে।
এনডিটিভির মতে, এই মহড়াটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ১৯৭১ সালের পর এমন মহড়া ভারতে কখনও হয়নি। ১৯৭১ সালে ভারত ও পাকিস্তান দুই ফ্রন্টে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। কাশ্মীরে হামলার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তান ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন এবং মোদি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, যারা এই হামলা চালিয়েছে তারা কঠিন শাস্তি পাবে।
মোদির সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন তিন বাহিনীর প্রধানরা এবং কাশ্মীরে হামলার বদলা নিতে সশস্ত্র বাহিনীকে পালটা আক্রমণের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে, ভারত পাকিস্তানে কোনো অভিযান চালাতে পারে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন