১৩ গোলের সেমিফাইনাল থ্রিলারে ইন্টারকে ফাইনালে তুলেই কান্নায় ভাঙলো বার্সা

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৪:৪৩ অপরাহ্ণ
১৩ গোলের সেমিফাইনাল থ্রিলারে ইন্টারকে ফাইনালে তুলেই কান্নায় ভাঙলো বার্সা

দুই লেগের উত্তেজনাকর লড়াই শেষে সান সিরোতে বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে ওঠে ইন্টার মিলান (নেরাজুরিওরা)। অন্যদিকে বার্সেলোনার শিবিরে নামে বিষাদের ছায়া। ১৩ গোলের এই রোমাঞ্চকর সেমিফাইনালে শেষ হাসি হাসে লাউতারো মার্টিনেজদের দল।

সান সিরোতে নামার আগে বার্সা সামান্য এগিয়ে থাকলেও ইন্টারের ঘরের মাঠে দুরন্ত পারফরম্যান্সে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। প্রথমার্ধেই দুই গোল করে এগিয়ে যায় ইন্টার। তবে দ্বিতীয়ার্ধে গার্সিয়া ও ওলমোর গোলে সমতায় ফেরে বার্সা। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে রাফিনিয়ার গোলে লিড নেয় কাতালানরা। নিঃশব্দ হয়ে পড়ে গোটা স্টেডিয়াম।

তবে অতিরিক্ত সময়ে ফ্রান্সেস্কোর গোলে আবারো সমতায় ফেরে ইন্টার। এরপর ফ্রান্ডেসির নাটকীয় গোলে নিশ্চিত হয় তাদের ফাইনালের টিকিট। ২০২২-২৩ মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হারা সেই ফাইনালের পর এবার আবারও শিরোপার সম্ভাবনা জাগিয়েছে সিমোন ইনজাঘির দল।

ইন্টার বস ইনজাঘি বলেন, “এই ছেলেরা অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। দুই লেগ মিলিয়ে এতটা নিবেদন না থাকলে ফাইনালে পৌঁছানো সম্ভব হতো না। আমি গর্বিত তাদের কোচ হতে পেরে।”

অন্যদিকে হতাশা ছাপিয়ে বার্সেলোনার কোচ হ্যান্সি ফ্লিক শিষ্যদের প্রশংসা করে বলেন, “তারা দুর্দান্ত খেলেছে। আমরা হেরেছি ঠিকই, তবে লড়াই করে হেরেছি। রেফারির ৫০-৫০ সিদ্ধান্তগুলো সব ইন্টারের পক্ষে গেছে, যা হতাশাজনক।”

ম্যাচ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন ইয়ামাল, রাফিনিয়া ও লেভানদোভস্কি। ইনস্টাগ্রামে আবেগঘন বার্তায় ইয়ামাল লেখেন, “আমরা সবকিছু দিয়েছি, কিন্তু হয়নি। আমরা থামবো না যতক্ষণ না বার্সেলোনাকে তার প্রাপ্য স্থানে নিয়ে ফিরিয়ে আনতে পারি।”

এই ম্যাচের মাধ্যমে বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল থেকে অষ্টমবার বিদায় নিল। একইসাথে এটি ২০১৭-১৮ মৌসুমের পর চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের সর্বোচ্চ গোলসংখ্যার রেকর্ড গড়া ম্যাচ।

ইন্টার এখন চোখ রাখছে তাদের চতুর্থ ইউসিএল শিরোপার দিকে, আর বার্সা অপেক্ষায় – এক নতুন মৌসুমে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায়।