চট্টগ্রাম বন্দরে প্রাইম মুভার শ্রমিকদের ধর্মঘটে ব্যাহত বন্দরের কার্যক্রম

চট্টগ্রাম বন্দরে সকাল থেকে প্রাইম মুভার শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাপক ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। ধর্মঘটের ফলে আইসিডিতে কনটেইনার পরিবহণ বন্ধ রয়েছে এবং সারাদেশে প্রাইম মুভার চলাচল বন্ধ থাকায় রপ্তানি কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।

ধর্মঘটের পেছনে মূল কারণ গত মঙ্গলবার রাতে প্রাইম মুভারে লাশ বহন করতে অস্বীকারের ঘটনায় পাহাড়তলী থানার ওসি বাবুল আজাদ ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাইম মুভার ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম খান এবং দুই চালক দেলোয়ার হোসেন ও মোহাম্মদ ফয়সাল আহত হওয়া। তারা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যায় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখান থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়া হয়।

পাহাড়তলী থানার ওসি বাবুল আজাদ ঘটনাটি নিয়ে সরাসরি কথা বলতে চাননি। তবে প্রাইম মুভার টেইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল খায়ের জানান, সঠিক বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে। অন্যদিকে, আইসিডি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইংল্যান্ড কনটেইনার ডেপো অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল রুহুল আমিন শিকদার দ্রুত ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন, নতুবা রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।

চট্টগ্রাম বন্দরের মুখপাত্র ওমর ফারুক জানান, বিষয়টি নিয়ে সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

প্রাইম মুভার অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ৭ হাজার প্রাইম মুভার চলাচল করে, যার মধ্যে প্রায় ১,২০০ প্রাইম মুভার ডিপোতে কনটেইনার আনা-নেয়ার কাজের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া সারাদেশে মোট প্রায় ১৫ হাজার প্রাইম মুভার কাজ করে।