রাখাইন সংকটে মানবিক করিডোর ইস্যুতে বাংলাদেশ নয়, প্রচারণা এসেছে প্রতিবেশী দেশ থেকে: জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
রাখাইন অঞ্চলে মানবিক করিডোর গঠনের বিষয়ে বাংলাদেশ কোনো প্রচারণা চালায়নি, বরং এটি এসেছে প্রতিবেশী একটি দেশ থেকে—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। বুধবার (২১ মে) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাখাইন সংকট ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মানবিক করিডোর নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি এবং হবেও না। এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকারভুক্ত এবং কোনো করিডোর স্থাপিত হলে তার পূর্ণ দায় থাকবে জাতিসংঘের ওপর। বাংলাদেশ কেবল সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
তিনি জানান, বর্তমানে রাখাইনের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকাজুড়ে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে আরাকান আর্মির হাতে। এ কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পাশাপাশি আরাকান আর্মির সঙ্গেও আলোচনা চলছে। আরাকান আর্মি নীতিগতভাবে প্রত্যাবাসনের পক্ষে মত দিলেও বাস্তবায়নের জন্য সেখানে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরার প্রয়োজন আছে বলে জানান তিনি। এ ইস্যুতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে আলোচনা হতে পারে বলেও জানান উপদেষ্টা।
জাতিগত নিধনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং আরাকান আর্মিকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে কোনো ধরনের এথনিক ক্লিনজিং মেনে নেওয়া হবে না।
দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. খলিল বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করলেও কখনো সেই দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেননি। তাই এ নিয়ে যে বক্তব্য এসেছে, তা ভিত্তিহীন। তিনি যুক্ত করে বলেন, “বিদেশে থাকলেই যদি কারো নাগরিকত্ব নির্ধারণ হয়, তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও একইভাবে মূল্যায়ন করা উচিত।”


আপনার মতামত লিখুন