অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের, সঠিক তদন্তের আহ্বান

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ৬:০৬ অপরাহ্ণ
অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের, সঠিক তদন্তের আহ্বান

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাময়িক অব্যাহতি পাওয়া যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীর নিজের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। বুধবার (২১ মে) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গণমাধ্যমকে তিনি জানান, এসব অভিযোগ অসত্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যদি প্রমাণ হয়, তাহলে আমি জেলে যেতে রাজি আছি।”

এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একই দিনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দুই পিও তুহিন ফারবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানও দুদকে তাদের বক্তব্য দিতে হাজির হন। দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে মঙ্গলবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলেও তারা হাজির হননি। দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন তখন বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদ এড়ানোর কৌশল কোনো কাজে আসবে না।”

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গাজী সালাউদ্দিন তানভীর বলেন, “গণমাধ্যমে এসেছে ১১০ কোটি টাকার কাগজে ৪০০ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়— এটা কিভাবে সম্ভব? কিছুদিন আগে ২৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির খবরও এসেছে। এসব বিষয়ে নিরপেক্ষ ও গভীর তদন্ত হওয়া জরুরি।” তিনি আরও বলেন, ৬৪ জেলায় জেলা প্রশাসক নিয়োগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হয়। এরপরও যদি কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠে, তাহলে তাকে ‘মহাশক্তিশালী’ হতে হবে।

তানভীর, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দুই পিও এবং এপিএসের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নামে-বেনামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। পাঠ্যবই ছাপানোর কাগজ কেনার কমিশন বাণিজ্যের সঙ্গেও তানভীরের নাম জড়িয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ মে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে চিঠি দেয় দুদক। তার আগেই, ২১ এপ্রিল তাকে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।