জাতীয় নির্বাচন সময়মতোই হবে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ৮:৪৬ অপরাহ্ণ
জাতীয় নির্বাচন সময়মতোই হবে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে এবং এই সময়সীমার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শুক্রবার (২৩ মে) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই হবে। তিনি আরও বলেন, “আমি প্রথম থেকেই বলে এসেছি যে উনি একটা সময় দিয়েছেন—ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তার একদিনও এদিক-সেদিক হওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের পক্ষ থেকে নেই। কাজেই এগুলো নিয়ে অন্য ধরনের কোনো কথা বলারও সুযোগ হওয়া উচিত নয়।”

ড. ইউনূসের পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি সরাসরি মন্তব্য না করে বলেন, দায়িত্ব পালনের বিষয়েও মাসের সম্পর্ক থাকতে পারে এবং যদি কিছু বলার থাকে, তা প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকেই শোনা উচিত।

চাপের বিষয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, চাপ বলতে একটাই—আমরা পারফর্ম করতে পারছি কি না, সেই প্রত্যাশা। এর বাইরে তাদের ওপর অন্য কোনো চাপ নেই। তিনি বলেন, “আপনি এখন সচিবালয় থেকে যমুনা যেতে পারবেন না, রাস্তা বন্ধ—এরকম অনেক সমস্যা আছে, যেগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানযোগ্য।” পারফরম্যান্সকেই তারা মূল চাপ হিসেবে দেখছেন।

তিনি বলেন, দায়িত্ব পালন করতে পারলে দায়িত্বে থাকা প্রাসঙ্গিক, না পারলে প্রত্যেকে তার নিজ নিজ জায়গায় ফিরে যাবে। “অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। সংস্কার কমিশনগুলো তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে, সেই প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক ঐক্যের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সব রাজনৈতিক দল সেখানে অংশ নিচ্ছে। এটাও তো একধরনের সফলতা।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা নির্দিষ্টভাবে বলেছি নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই হবে—এটাও আমাদের একটি অগ্রগতি। বিচার ট্রাইব্যুনাল এখন দুটি হয়েছে, আগামীকাল থেকে ট্রায়াল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। এই কাজগুলো যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সম্পন্ন হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।”

রিজওয়ানা হাসান বলেন, গতকালের বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে এবং সেখানে দায়িত্ব তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে—সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন। “শুধু নির্বাচন করার জন্যই আমরা দায়িত্ব নেইনি,” তিনি বলেন।

তিনি অভিযোগ করেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্ন পক্ষ যার যা দাবি আছে তা নিয়ে রাস্তায় বসে পড়ছে এবং রাজধানী অচল করে দিচ্ছে। এই অচলাবস্থা নিরসনের জন্য তারা কিছু করতে পারছে কি না, সে প্রশ্নও তারা নিজেরা ভাবছেন। “আমরা ক্ষমতা নেইনি, দায়িত্ব নিয়েছি। এই দায়িত্ব তখনই পালন সম্ভব, যখন সবার সহযোগিতা থাকবে। প্রত্যাশা এক জিনিস, আর দায়িত্ব পালন করা আরেক জিনিস। আমরা চিন্তা করেছি আসলে আমরা দায়িত্ব পালন করতে পারছি কি না।”